জেলা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে জোর করে তুলে নিয়ে পাঁচজন মিলে গণধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১৭ এপ্রিল) তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাতে উপজেলার পূর্বাচল ঘেষা কায়েতপাড়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
মেয়েটি পরিবার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থী (১৪) বাড়ির সামনে দোকানে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে গেলে সেখান থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় একই এলাকার হাসানের ছেলে জহির হোসেন পন্টু, সিরাজুল ইসলামের ছেলে মুন্না, আবুল হোসেনের ছেলে ওসমান, শাহীনের ছেলে সাকিব ও আবুলের ছেলে অনিক। পরে তারা ওই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় বালুর চরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। পরে তার পরিবার তাকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে জানতে পারে বখাটে সন্ত্রাসীরা ওই শিক্ষার্থীকে বালু চরে নিয়ে গেছে। পরে পরিবারের লোকজন গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বালু চরের দিকে যায়। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে শিক্ষার্থীকে গুরুতর অবস্থায় তাকে সেখানে ফেলে রেখে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করান। এ ঘটনায় শুক্রবার শিক্ষার্থীর বড় ভাই বাদী হয়ে ওই ৫ জনকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগ এনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।